ঢাকা , সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫ , ২ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
গোপালগঞ্জে আওয়ামী লীগ নেতার পদত্যাগ ঈদের লম্বা ছুটিতে চট্টগ্রাম বন্দরে শিডিউল বিপর্যয় অবৈধভাবে ফ্ল্যাট দখলের অভিযোগে টিউলিপকে দুদকের তলব আধিপত্য বিস্তার নিয়ে নিহত দুই কর্মীকে নিয়ে জামায়াত-বিএনপি ঠেলাঠেলি মোসাদের দুই গুপ্তচরকে আটক করেছে ইরান ১০ দিনের ছুটি শেষে খুলেছে সরকারি অফিস খেলাপি ঋণ ছাড়াল ৪ লাখ ২০ হাজার কোটি টাকা যারা খেলে খেলুক আমরা শুধু রেফারি হয়ে কাজ করব-সিইসি এনটিআরসিএতে অবস্থান নিয়েছেন ভাইভায় ফেল করা প্রার্থীরা সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ পুলিশের লাঠিচার্জ মানবিক পুলিশ চাচ্ছি আমরা, সবার সঙ্গে যেন ভালো ব্যবহার করে-স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা পাচার অর্থ ফেরাতে সরকার চাইলে এখনই আইনজীবী নিয়োগ সম্ভব-গভর্নর শেষ মুহূর্তে রাজধানীতে মানুষের স্রোত গ্যাস সিলিন্ডারজনিত অগ্নি দুর্ঘটনা বাড়ছে কারাগারে ‘ফাঁস নিলেন’ বিরুলিয়ার সাবেক চেয়ারম্যান সুজন আজ আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার জরুরি বৈঠকের ডাক ইরানের হামলায় তছনছ ইসরায়েল করোনা-ডেঙ্গু নিয়ে উদ্বিগ্ন অভিভাবকরা নকলমুক্ত রাখতে একগুচ্ছ নির্দেশনা ষড়যন্ত্রকারীদের জন্য কফিনে শেষ পেরেক-প্রেস সচিব

বাংলাদেশের সীমান্তে আগুন জ্বললে বিহার-ওডিশাও রক্ষা পাবে না : মমতা

  • আপলোড সময় : ০৮-১২-২০২৪ ১০:৫২:২৫ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ০৮-১২-২০২৪ ১০:৫২:২৫ পূর্বাহ্ন
বাংলাদেশের সীমান্তে আগুন জ্বললে বিহার-ওডিশাও রক্ষা পাবে না : মমতা
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, বাংলাদেশে একটা ‘নেতৃত্বহীন’ অবস্থা তৈরি হয়েছে এবং এই অবস্থার সুযোগ নিয়ে মাফিয়ারা সংখ্যালঘু নির্যাতনসহ অন্যান্য নেতিবাচক ঘটনা ঘটাচ্ছে। তিনি সতর্ক করে বলেছেন, বাংলাদেশ সীমান্তে আগুন জ্বললে তা থেকে পশ্চিমবঙ্গ তো বটেই, বিহার-ওডিশাও রেহাই পাবে না। ভারতীয় সম্প্রচারমাধ্যম নিউজ-১৮-এর সোজাসাপ্টা অনুষ্ঠানে গত শুক্রবার দেয়া এক সাক্ষাৎকারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এসব কথা বলেন। বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের বিষয়টি ইঙ্গিত করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘যারা নির্যাতিত হচ্ছে আমি তাদের পক্ষে, আমি চাই তারা বিচার পাক। এটা (সংখ্যালঘু নির্যাতন) কোনো কাস্ট করে না, কোনো কমিউনিটি করে না। সরকার যখন দুর্বল হয়ে যায়, আর একশ্রেণির মাফিয়ারা যখন সুযোগটা পেয়ে যায়, তখন এসব ঘটনা ঘটে।’ বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির দিকে ইঙ্গিত করে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘মাৎস্যন্যায় কথাটা আমরা পড়েছি যখন বড় মাছ ছোট মাছকে গিলে খায়-এ রকম অবস্থা হয়ে গেছে (বাংলাদেশে), একটা লিডারলেস (নেতৃত্বহীন) পরিস্থিতির মতো হয়ে গেছে। সে জন্যই প্রবলেমটা (ঝামেলা) হচ্ছে। কিন্তু আমি বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলাতে চাই না।’ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সতর্ক করে বলেন, বাংলাদেশে রাজনৈতিক ও সামাজিক অস্থিতিশীলতা চলতে থাকলে বিহার, ওডিশাও এর প্রভাব থেকে রেহাই পাবে না। তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ সীমান্তে যদি কেউ আগুন লাগায়, তবে বিহার-ওডিশাও রক্ষা পাবে না। আমি চাই, আমাদের প্রতিবেশীরাও আমাদের সঙ্গে শান্তিতে বাস করুক।’ এ সময় তিনি কেন্দ্রীয় সরকারকে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে যোগাযোগের চ্যানেল খোলা রাখতে এবং নিশ্চিত করতে আহ্বান জানান যে, ‘সবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হোক এবং সেখানে সবাই শান্তিতে থাকতে পারুক।’ মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, সবকিছুর পরেও তিনি চান বাংলাদেশ তার কঠিন সময় অতিক্রম করুক। মমতা বলেন, ‘বাংলা (পশ্চিমবঙ্গ) বাংলাদেশের সঙ্গে একটি সাধারণ ভাষা এবং সংস্কৃতি শেয়ার করে। ভৌগোলিক সীমারেখা আছে, কিন্তু হৃদয়ের কোনো সীমানা নেই। বাংলাদেশে রাজনৈতিক বাধ্যবাধকতা যা-ই থাকুক না কেন, প্রতিশোধ নেয়ার এই কথাবার্তা সত্ত্বেও আমি চাই সবাই ভালো থাকুক।’ ভারতের প্রতিবেশী দেশে অস্থিরতা কি কেন্দ্রীয় সরকারের ব্যর্থতার ইঙ্গিত দিচ্ছে-এ প্রশ্নের জবাবে মমতা বলেন, ‘আমি দ্বিপক্ষীয় বিষয় নিয়ে কখনো প্রকাশ্যে কথা বলি না। এটা আমার ভারত।’ এর আগে, গত সপ্তাহের শুরুতে মমতা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে অনুরোধ করেছিলেন জাতিসংঘের কাছে বাংলাদেশে শান্তিরক্ষী বাহিনী পাঠানোর এবং ‘নির্যাতিত ভারতীয়দের’ সরিয়ে নেয়ার দাবি করেছিলেন।

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স